ডেস্ক নিউজ : দুর্যোগে প্রবাসী আয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি জোগাচ্ছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রয় আদেশ বাতিলের প্রেক্ষাপটে নিজেই বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সাথে কথা বলেছেন। এরই মাঝে ক্রয় আদেশ আসতে শুরু করেছে। অর্থনীতি আকস্মিক স্থবিরতা কাটিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ইতালি বিএনপির এক নেতার এক বক্তব্যে ইতালি প্রবাসীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিএনপি-নামক দলটি সরকারের কোনো ইতিবাচক প্রয়াস দেখতে পায় না। তারা সমালোচনা আর মিথ্যাচারের বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে। দিনের আলোতে-দেখতে পায় রাতের অন্ধকার। প্রেস ব্রিফিং আর নেতিবাচকতার কাঁদামাটিতে আটকে আছে তাদের রাজনীতি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ এই সময়ে’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ আলোচনায় অংশ নেন। ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে এতে যুক্ত হন। অনলাইন আলোচনা সভায় অশ নেন সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এন. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের শক্তি—আমাদের মনোবল। আমরা এ মনোবল অর্জন করেছি বার বার মৃত্যুর মঞ্চ থেকে ফিরে আসা মৃতুঞ্জয়ী এক সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব থেকে। যিনি ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা ওড়ান। হৃদয় যার বাংলাদেশের মতো উদার। তার দক্ষতা, দূরদর্শিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে করোনার সংক্রমণ রোধে কাজ করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, জনবহুল, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আমরা পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে স্রষ্টার অপার রহমতে ভালো অবস্থানে থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের সুরক্ষায় দিনরাত কাজ করছে অবিরাম। এ অবিরাম প্রচেষ্টা সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস জরুরি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়মসহ অন্যান্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান জনমনে নতুন করে প্রত্যাশার আলো জ্বালিয়েছে। দলীয় পরিচয় থাকলেও অনিয়ম করে কেউ ছাড় পাবে না, এ কথা আজ স্পষ্ট। সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে, বলেন ওবায়দুল কাদের